রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর কারমাইকেল কলেজে ছাত্রলীগ ও জাসদ ছাত্রলীগের সংঘর্ষে উভয় সংগঠনের মোট ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র জয়ন্ত কুমার ও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও জাসদ ছাত্রলীগ নেতা আমীর আখতারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ জানান, মঙ্গলবার বিকালে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা আমীর আখতারকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল বুধবার জাসদ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জয়ন্ত কুমারের ওপর হামলা চালায়। প্রশাসনিক ভবনে আশ্রয় নিলেও তাকে রেহাই দেওয়া হয়নি। কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা জয়ন্তকে উদ্ধার করে আমার কক্ষে নিয়ে যায়। জয়ন্তের রক্তে আমার কক্ষের মেঝে রঞ্জিত হয়েছে। ঘটনার সময় আমি দুপুরের খাবার খেতে বাসায় অবস্থান করছিলাম।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিউর রহমান স্বাধীন জানান, বিনা উসকানিতে জাসদ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জয়ন্ত কুমারের ওপর হামলা চালায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেনি। জাসদ ছাত্রলীগ মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি ও কারমাইকেল কলেজ নেতা এহতেশাম জেমী বলেন, জয়ন্ত গুলিবর্ষণের চেষ্টা চালালে আমরা তাকে ধাওয়া করে উত্তম-মধ্যম দেই। গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগ নেতা আশিক জাসদ ছাত্রলীগ নেতা আমীর আখতারের মোবাইল ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
কোতোয়ালি থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম বলেন, কলেজে দু’দিন ধরে ছাত্রলীগ ও জাসদ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।